প্রতিষ্ঠাতার বাণী ও প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

বাংলাদেশের আবহমান পল্লীর প্রাকৃতিক পরিবেশে স্থাপিত হয়েছে শহীদ রওশন আলী খান মহাবিদ্যালয়। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে ১৯৯৮ সালে। সব কাজ গুছিয়ে বোর্ডের অনুমতি নিয়ে বাস্তবিকভাবে কলেজ শুরু হয় ২০০০ সালে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে যার নামে তিনি একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী বাহিনীর অনুগত বিহারী সন্ত্রাসীদের হাতে শহীদ হন। কলেজটির এই নামকরণের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এই অঞ্চলের বীর সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে এবং সেই সাথে বাংলাদেশের লাখো শহীদদের আত্নদানকে সম্নানের সাথে স্মরণে আনা হয়েছে। মানুষ তখনই সত্যিকার অর্থে মরে যখন অন্যরা তাকে ভুলে যায়। আমরা এই কলেজের নামকরণের মধ্য দিয়ে সব শহীদদেরই অনন্তকাল জীবিত রাখতে চাই। এই কলেজের মূল শিক্ষা হল- অর্জিত মেধা ও জ্ঞান দ্বারা দেশের ও মানুষের কল্যাণ করা।
শহীদ রওশন আলী খান মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ হামিদ খান যুক্তরাষ্টে দীর্ঘকাল প্রবাসী থেকেও নিজ জন্মভূমি এবং নিজ এলাকার জনসাধারণের প্রয়োজনকে আপন দায়িত্ব ও কর্তব্যের অর্ন্তগত হিসাবে এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজটি প্রতিষ্ঠার আরেকটি অন্যতম উদ্দেশ্য হল গ্রামের অবহেলিত কৃষক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সন্তানদের বিশেষ করে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা। অত্র কলেজটি টাংগাইল জেলার বাসাইল উপজেলায় ময়থা-ঝনঝনিয়া গ্রামে অবস্থিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ রওশন আলী খানের নামে তার সুযোগ্য পুত্র আমেরিকা প্রবাসী প্রথিতযশা ফার্মাসিষ্ট আলহাজ হামিদ রেজা খান প্রতিষ্ঠা করেন।
সভাপতির বাণী

২০১০ শহীদ রওশন আলী খান মহাবিদ্যালয়। ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপন ১৯৯৮ সালে। অবকাঠামো নির্মাণ শেষে এবং শিক্ষাবোর্ডের অনুমতি নিয়ে বাস্তব অর্থে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ২০০০ সাল থেকে। শহীদ রওশন আলী খান মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ঝনঝনীয়া গ্রামে জন্মগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ফার্মাসিষ্ট হামিদ রেজা খান। কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রধানতম উদ্দেশ্য গ্রামাঞ্চলের অবহেলিত কৃষক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সন্তানদের, বিশেষ করে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দেয়া। এই কলেজের মূল শিক্ষা হলো অর্জিত মেধা ও জ্ঞান দ্বারা দেশ ও দশের কল্যাণ করা এবং সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে প্রতিষ্ঠাতা হামিদ রেজা খানের পিতা শহীদ রওশন আলী খানের নামে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময়ে চট্টগ্রামে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অনুগত বিহারী প্যারামিলিটারী সন্ত্রাসীদের হাতে তিনি শহীদ হন। একজন শহীদের নামে নামকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের লাখো শহীদের আত্মদানকে সন্মানের সাথে স্মরণে আনা হয়েছে। কলেজটি টাংগাইল জেলার বাসাইল উপজেলাতে ময়থা ও ঝনঝনীয়া দুই গ্রামের প্রান্ত সীমা সংলগ্ন এলাকার মধ্যে অবস্হিত। তিন একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত শহীদ রওশন আলী খান মহাবিদ্যালয় পূর্ণ দৈর্ঘ্য খেলার মাঠ, পুকুর, লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাব ইত্যাদি সহ শিক্ষাসহায়ক নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে টাংগাইল জেলায় উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গন্য হয়ে আসছে। ২০১০সালে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক MPO ভুক্ত হয়। ২০১৩-সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ডিগ্রি কলেজে উন্নীত হয়।
অধ্যক্ষের বাণী

মানব জাতির সূচনা লগ্ন থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও কৌশল আয়ত্ব করে চলছে। আর শত সহস্র বছরের সঞ্চিত ও অর্জিত জ্ঞান শেখানো হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যুগের প্রয়োজনে মানবের কল্যাণে সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিরা কখনো কখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এমনিই ভাবেই দক্ষ, অভিজ্ঞ, জ্ঞানে সু-গভীর ও বিদ্যানুরাগী এক মহাপুরুষ মরহুম অধ্যাপক মাওলানা মোঃ ইয়াছীন সাহেবও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ, যোগ্য, আদর্শ ও সুনাগরিক রূপে গড়ে তোলার অভিপ্রায় নিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায়, টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলাধীন ফুলকি ইউনিয়নস্থ ময়থা ও ঝনঝনীয়া দুই গ্রামের প্রান্ত সীমা সংলগ্ন এলাকার মধ্যে অবস্হিত। বর্তমান সরকারের শিক্ষা বিষয়ক নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিক্ষকবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, শিক্ষার্থীদের নিরলস অধ্যয়ন ও অধ্যবসায় এবং অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত পরামর্শে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে ডিগ্রি শ্রেণিতে উন্নিত হয়েছে। আল্লাহ তা’য়ালা এই প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিক আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষার কেন্দ্র হিসাবে কবুল করে নিন।